পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশ্চিন্দিপুরে কাজলকে নিয়ে অপু अड ট্রেনে উঠিয়াও যেন অপুর বিশ্বাস হইতেছিল না, সে সত্যই নিশ্চিন্দিপুরের মাটিতে আবার পা দিতে পরিবে-নিশ্চিন্দিপুর, সে তো। শৈশবের স্বপ্নলোক ! সে তো মুছিয়া গিয়াছে, মিলাইয়া গিয়াছে, সে শুধু একটা অনতিস্পষ্ট সুখস্মৃতি মাত্র, কখনও ছিল না, নাই-ও ! মাঝেরপাড়া স্টেশনে ট্ৰেণ আসিল বেলা একটার সময় । খোকা লাফ দিয়া নামিল, কারণ প্লাটফর্ম খুব নিচু। অনেক পরিবর্তন হইয়াছে স্টেশনটার, প্লাটফর্মের মাঝখানে জাহাজের মাস্তুলের মত উচু যে সিগন্যালটা ছেলেবেলায় তাহাকে তাক লাগাইয়া দিয়াছিল সেটা আর এখন নাই। স্টেশনের বাহিরে পথের উপর একটা বড় জাম গাছ, অপুর মনে আছে, এটা আগে ছিল না। ওই সেই বড় মাদার গাছটা, যেটার তলায় অনেককাল আগে তাহদের এদেশ ছাড়িবার দিনটাতে মা খিচুড়ি রাধিয়াছিলেন। গাছের তলায় দু’খানা মোটরবাস যাত্রীর প্রত্যাশায় দাড়াইয়া, অপুৱা থাকিতে থাকিতে দু’খানা পুরনো ফোর্ড ট্যাক্সিও আসিয়া জুটল। আজকাল নাকি নবাবগঞ্জ পর্যন্ত বাস ও ট্যাক্সি হইয়াছে, জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল-জিনিসটা অপুর কেমন যেন ভাল লাগিল না। কাজল নবীন যুগের মানুষ, সাগ্রহে বলিল-মোটর কারে ক’রে যাব বাবা ? অপু ছেলেকে জিনিসপত্রসমেত ট্যাক্সিতে উঠাইয়া দিল, বটের ঝুরি bምኳ”