পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পথে অপু ঠিক দুপুর বেলা । রানী কাজলকে আটকাইয়া রাখিতে পারে না।--বেজায় চঞ্চল। এই আছে, কোথা দিয়া যে কখন বাহির হইয়া গিয়াছে।-কেহ বলিত পারে না । সে রোজ জিজ্ঞাসা করে---পিসিমা, বাবা কবে "আসবে ? কতদিন দেরী হবে ?-- অপু যাইবার সময় বলিয়া গিয়াছিল-রাণুদি, খোকাকে তোমার হাতে দিয়ে যাচ্ছি, ওকে এখানে রাখবে, ওকে ব’লে না। আমি কোথা যাচ্ছি। যদি আমার জন্য কঁাদে, ভুলিয়ে রেখো!—তুমি ছাড়া ওকাজ আর কেউ পারবে না । রাণু চোখ মুছিয়া বলিয়াছিল-‘ওকে এ-রকম ফাঁকি দিতে তোর মন সরছে ? বোকা ছেলে তাই বুঝিয়ে গেলি—যদি চালক হ’ত ? অপু বলিয়াছিল, দেখ আর একটা কথা বলি। ওই বঁাশবনের জায়গাটা তোমায় চল দেখিয়ে রাখি-একটা সোনার কৌটা। মাটিতে পোতা আছে আজ অনেকদিন-মাটি খুড়লেই পাবে। আর যদি না ফিরি। আর খোকা। যদি বাঁচে-বৌমাকে কৌটোটা দিও সিদুর রাখতে। খোকাও কষ্ট পেয়ে মানুষ হোক-এত তাড়াতাড়ি স্কুলে ভর্তি করার দরকার নেই। যেখানে যায় যেতে দিও—কেবল যখন ঘাটে যাবে, তুমি নিজে নাইতে নিয়ে যেও-সঁাতার জানে না, ছেলেমানুষ ডুবে যাবে। ও একটি ভীতু আছে, কিন্তু সে ভয় এ নেই তা-নেই বলে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা ক’রো না-কি আছে কি নেই তা SV)