শরতের পুণ্য-প্রভাতে বাঙলাদেশের খোকা-খুকুদের হাতে ‘ছোটদের চয়নিকা’ তুলে দেবার গৌরব যাঁদের অক্লান্ত চেষ্টায় লাভ করা সম্ভব হয়েছে তাঁদের বিষয়ে দু-চারটি কথা বলবো।
সে আজ মাত্র ক-দিনের কথা—
শিশু-সাহিত্যের রূপকার ‘মাস-পয়লা’-সম্পাদক সুহৃদ্বর শ্রীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য আমাদের শিশু-সাহিত্যের মজলিশে বসে এই শ্রেণীর একখানি পুস্তক-প্রকাশের প্রসঙ্গ তোলেন। শিশু-সাহিত্যের যাদুকর-কবি সতীর্থ শ্রীযুক্ত সুনির্ম্মল বসু সেই আসরেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখনি তার নামকরণ করে তার সঙ্কলনের ভার গ্রহণ করেন।
এই কল্পনার পরিপুষ্টি হয় খ্যাতনামা শিল্পী শ্রীযুক্ত প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীযুক্ত ফণীভূষণ গুপ্ত ও শ্রীযুক্ত পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্ত্তী বন্ধুগণের সহায়তায়। আমাদের অত্যাচারে শতকাজ ফেলিয়াও পূর্ণবাবু তার চিত্র-সম্পাদনের ভার নিতে বাধ্য হন। এঁদের তিনজনের অক্লান্ত চেষ্টায় মাত্র ক’দিনের মধ্যে পুস্তকের বর্ত্তমান রূপ দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে।
পরম শ্রদ্ধাস্পদ কবি শ্রীযুক্ত গিরিজাকুমার বসু মহাশয় আমাদের আব্দার উপেক্ষা করতে না পেরে সুনির্ম্মলবাবুর সহকারিতায় এর সম্পাদন ভার গ্রহণ করে আমাদের চিরকৃতজ্ঞতা পাশে বদ্ধ করেছেন।
পূজার পুর্ব্বে পুস্তক প্রকাশ আমাদের অভিপ্রায় জেনে এর সম্পাদন কার্য্য মাত্র ক'দিনের মধ্যে শেষ করতে গিয়ে তাঁকে দিন-রাত যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে সে ঋণ অপরিশোধনীয়।
‘মৌচাক’-সম্পাদক অগ্রজ-প্রতিম শ্রীযুক্ত সুধীরচন্দ্র সরকার মহাশয়ের কাছে এ-ব্যাপারে আমরা অযাচিতভাবে যে সাহায্য পেয়েছি সে কথা চিরদিন মনে থাকবে।