অষো ধ্যাকাণ্ড § { রামের মনের ভিতর যে কি, তাহা ত তুমি জান না । রাম যদি রাজা হয়, প্রজারা তাহারই অনুগত হইবে ; সে যাহা বলিবে, তাহাই শুনিবে, তখন রামকে আর কাহারাও মুখ চাহিয়া থাকিতে হইবে না । সে সময় কি আর রাম তোমাকে এখনকার মত ভক্তি-শ্রদ্ধা করিবে ; না, ভরতের উপর তাহার এখনকার মত স্নেহ-ভালবাসাই থাকিবে ? তখন হাত ভরতকে সে মারিয়াই ফেলিবে ; না হয়, রাজ্য হইতে দূর করিয়া দিবে। রাজা তোমাকে খুবই ভালবাসেন, সেই সাহসে এতদিন রামের মা কৌশল্যাকে তুমি গ্রাহাই কর নাই, কিন্তু রাম রাজা হইলে কৌশল্য কি তাহার শোধ লইতে ছাড়িবে ? তাই আমার ভয় হইতেছে, এতদিনের পর বুঝি তোমার প্রভুত্ব যায়, ভরতও বুঝি পথের ভিখারী হয় ।” এই রকম নান কথায় কুঁজী কৈকেয়ীর মন বিগড়াইয় দিল । আর র্তাহার সে আনন্দ রহিল না । তিনি মনের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক করিলেন, কিন্তু কিছুতেই সুস্থির হইতে পারিলেন না। তখন কুঁজীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মন্থরা, এখন উপায় কি, বল দেখি ?” মন্থর বলিল, “রাণী, রাজা যখন তোমাকে খুবই ভালবাসেন তখন আর উপায়ের অভাব কি ? তোমার মনে
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২৫
অবয়ব