বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*3 R ছোটদের রামায়ণ আনিবার জন্য বনে গমন করিলেন। চিত্ৰকূট পৰ্বতে চারি ভাইয়ের মিলন হইল। এত শোকের মধ্যেও সেই মিলন কি মধুর! ভরত রামের পায়ে ধরিয়া কদেন, রাম তাছাকে বুকে লইয়া চোখের জলে ভাসেন | রামকে ফিরাইয়া আনিতে ভরতের কি আগ্রহ—কি কাতর অনুনয় ! কিন্তু রাম পিতার সত্য পালন করিতে বনে আসিয়াছেন, কিরূপে ফিরিবেন ? তিনি সে কথা ভরতকে বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া বলিলেন । তখন ভরত বলিলেন, “দাদা, যদি কোন মতেই ফিরিবে না, তবে তোমার খড়ম্ জোড়া দাও ! ঐ খড়ম্ষ্ট আমাদের রাজা হইবে। আমি অযোধ্যায় যাইব না ; নন্দীগ্রামে রাজসিংহাসনে খড়ম রাখিয়, তাহার নীচে বসিয়া প্লাজকাৰ্য্য চালাইব । কিন্তু মনে রাখিও, যেদিন চৌদ্দ বৎসর পূর্ণ হইবে, তাহার পরদিনেই যদি তোমাকে দেখিতে না পাই, তবে আমি আগুনে ঝাপ দিয়া সকল জ্বালা জুড়াইব ।” রাম ভরতের ব্যবহারে যার-পর-নাই তুষ্ট হইয়া খড়ম্ জোড়া দিলেন । ভরত উগ মাথায় তুলিয়া লইয়া শক্রন্থের সহিত নন্দীগ্রামে ফিরিয়া অামিলেন। রাম, লক্ষ্মণ পূর্বেই ভরতের মুখে দশরথের মৃত্যু সংবাদ পাইয়াছিলেন । ভরত চলিয়া আসিলে পিতার শোকে কাতর হইয়া ভঁাহার। বালকের ন্যায় রোদন ও হাহাকার করিতে লাগিলেন ।