বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঔ৬ ছোটদের রামায়ণ মারীচ । রাবণ তাহাকে বলিল, “আমার সঙ্গে পঞ্চবটীতে চল ; রাম, লক্ষণ মানুষ হইয় রাক্ষসের অপমান করে ! আমি ইহার প্রতিশোধ না লইয়া ছাড়িব না । তোমাকে সোনার হরিণ সাজিয়া আমাকে সাহায্য করিতে হইবে। সোনার হরিণ দেখিলে সীতার লোভ জন্মিবে। সীতার অনুরোধে রাম, লক্ষণ তোমাকে ধরিতে যাইবে । তোমার পিছনে পিছনে ছুটিয়া ক্রমে তাহারা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করিবে, সেই সুযোগে আমিও সীতাকে চুরি করিয়া আনিব।” রাবণ মনে মনে যাহা আটিল কাজেও তাহাই করিল। মারীচ প্রথমে ইহাতে সম্মত হয় নাই ; কেন না, রামকে সে ভাল রকমই চিনিয়াছিল । কিন্তু রাবণের আদেশ পালন না করিলে রক্ষা নাই, কাজেই তাহাকে রাজী হইতে হইল । ইহার পর মারীচ একদিন রাবণের সহিত পঞ্চবটীতে গিয়া রামের কুটারের সম্মুখে সোনার হরিণের রূপ ধরিয়া খেলা করিতে লাগিল। সীতা সুন্দর হরিণটি দেখিয় রামকে উহা ধরিয়া দিতে বলিলেন । লক্ষণকে পাহারায় রাখিয়া রাম হরিণ ধরিতে গেলেন । হরিণ পলাইল ; রামও পিছনে পিছনে ছুটিলেন ! অনেকক্ষণ পর্যন্ত র্তাহাকে ফিরিতে না দেখিয়া সীতা লক্ষণকে তাহার সন্ধানে পাঠাইলেন । এই অবসরে রাবণ সীতাকে লইয়া লঙ্কায় পলাইল ।