পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড 8 : একে একে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম চারি সমুদ্রের মধ্যে ডুবাইয়া পূজা শেষ করিলেন । জল খাইয়৷ পেট ফুলিয়া রাবণের প্রাণ যায় আর কি ! বেচার রাবণ বালীর পায়ে পড়িয়া তাহার অনেক স্তব-স্তুতি করিয়া শেষে অব্যাহতি পায় । দূর হইতে রাম-লক্ষণকে আসিতে দেখিয়া স্থগ্রীবের বড়ই ভয় হইল। তিনি ভাবিলেন, বুঝি বালীরই কোন চর এখানে তাহার সন্ধানে আসিতেছে । তাই তিনি সঙ্গীদের মধ্যে হনুমানকে ডাকিয়া বলিলেন, “বাপু হনুমান, ঐ দুইজন লোক বালীর চর, না অন্য কেহু, তুমি কৌশলে জানিয়া আইস ” হনুমান রাম, লক্ষণের কাছে গিয়া তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া কহিল, “মহাশয়গণ, আপনাদিগকে অতি সাধু ও শক্তিমান পুরুষ বলিয়া বোধ হইতেছে ; আপনাদের পরিচয় পাইলে,কৃতাৰ্থ হই । এই পর্বতে বানররাজ সুগ্ৰীব থাকেন, তিনি বীর ও ধামিক ; আপনাদের সহিত তিনি মিত্রত। করিতে চাহেন । আমি তাহার অনুচর, আমার নাম হনুমান ।” সুগ্ৰীবের নাম শুনিয়। রাম সুখী হইলেন এবং লক্ষণকে হনুমানের সহিত কথা কহিতে বললেন। লক্ষণ তখন হনুমানের নিকট আপনাদের পরিচয় দিয়া এবং সীতাহরণের