সুন্দরাকাণ্ড পর্বত হইতে লাফ দিবার পূর্বে হনুমান তাহার দেহ ফুলাইয়। এমন ভয়ঙ্কর করিয়া তুলিল যে, কাহার সাধ্য এদিকে চায় । দেবতারা পর্যন্ত অবাক হইলেন। তখন তামাসা দেখিবার জন্য র্তাহারা ‘সুরসা" নামে এক নাগিনীকে পাঠাইয়া দিলেন । সে সমুদ্রের উপর আকাশ-পাতাল জোড়া প্রকাণ্ড হা করিয়া সকল পথ বন্ধ করিল। কিন্তু হনুমানের কাছে তাহার কৌশল খাটল না । ইহার পর ‘সিংহিকা' নামে একটা রাক্ষসীও ঠিক সেইরূপ হঁ। করিয়া দাড়াইল । কিন্তু সেও হনুমানকে আটকাইতে পারিল না ! সে রাক্ষসীর পেটের ভিতর ঢুকিয়া নাড়-ভূড়ি ছিড়িয়া বাহির হইয়া গেল শেষে সেই একশত যোজন পার হইয়া হনুমান যখন লঙ্কায় উপস্থিত হইল, তখন বেল প্রায় শেষ হইয়াছিল । সন্ধ্যার পর সে মর্কটের স্তায় ছোট আকার ধরিয়। লস্কার প্রতি ঘর-বাড়ী, বাগান-বাগিচা খাজ করিতে লাগিল । রাবণের অন্দরে ঢুকিয়া হনুমান ত একেবারে অবাক । সোনার ধর, রূপার সিড়ি, ফটকের দরজা জানালা! আরও কত অদ্ভুত জিনিস যে সে দেখিল, তাহ। আর কি বলিব ! কিন্তু সীতাকে কোথাও খুজিয়৷ পাইল না। শেষে অশোক বনে আসিয়া হনুমান দেখিল, কয়েকটা রাক্ষসী একটি মেয়েকে ঘিরিয়া রহিয়াছে আর মেয়েটি মাথা নীচু করিয়া কঁাদিতেছে।
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৪৮
অবয়ব