লঙ্কাকাও (? & তাহারই জল্পনা চলিতে লাগিল । রামের সৈন্যের মধ্যে নল খুব বড় কারিকর ছিল । গাছ-পাথর ফেলিয়া সে সমুদ্রের উপর এক সেতু প্রস্তুত করিয়া দিল । সেই সেতুর উপর দিয়া রামের সৈন্য লঙ্কায় আসিয়া পৌছিল । ব্যাপার দেখিয়া রাবণ ত অবাক ! সে তখন শুক ও সারণ নামে তাহার দুইজন মন্ত্রীকে ডাকিয়া বলিল, “তোমরা কৌশলে রামের সৈন্য-সংখ্যা ও তাহীদের বল-বিক্রম জানিয়া আইস ।” রাজার আদেশে শুক ও সারণ ভয়েঃ ভয়ে বানরের দলে গিয়া মিশিল । তাহারা এমন আশ্চর্য্য ছদ্মবেশ করিয়াছিল যে, কাহার সাধ্য চিনিতে পারে। কিন্তু বিভিষণের কাছে কোন কৌশলই থাটিল না। দেখিবামাত্র সে তাহাদিগকে ধরিয়া রামের নিকট পঠাইয়া দল। বেচারাদের তখন কি আর্তনাদ তাহারা একবার রামের, একবার লক্ষণের পায়ে লুট্রাইয় পড়ে, আর ঘোড়হাতে তাহদের নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতে থাকে । শুক ও সারণের অবস্থা দেখিরা রামের মনে দয়ার সঞ্চার হইল। তিনি বলিলেন, “ভয় নাই ; যাহা দেখিতে আসিয়াছ, খুব ভাল করিয়া দেখিয়া তোমাদের রাজাকে গিয়া বল ।” এত সহজে যে নিষ্কৃতি পাইবে, শুক ও সারণ ইহা কল্পনাও করে নাই । মুক্তি পাইয় তাহারা রামের দয়ার কথা ভাবিতে ভাবিতে রাবণের কাছে ফিরিয়া গেল ; আর বলিল,
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৫৯
অবয়ব