૭ ર ছোটদের রামায়ণ আমি সেই বালীর পুত্র অঙ্গদ, স্ত্রীরামের দূত। হয়, সীতাকে ফিরাইয়া দিয়া রামের নিকট ক্ষম প্রার্থনা কর, না হয়, যুদ্ধ করিয়! সবংশে মর ” অল্পদের কথায় রাবণ রাগে কঁপিতে লাগিল । তাছার তাদেশে তখনই চারিট রাক্ষস অঙ্গদকে বাধতে (গল । কিন্ত বধা আর হইল না । অঙ্গদ তাহাদিগকে বগলে পুরিয়া এক লাফে একটা বাড়ীর ছাদে গিয়া বসিল । তারপর দুই তিন আছাড়ে সকলগুলির ঘাড় ভাঙ্গিয়া রামের নিকট ফিরিয়া আসিল । সুগ্ৰীব ও অঙ্গদের কায্যে রাম যার-পর-নাই সন্তুষ্ট হইলেন । রাবণ কিন্তু এই দারুণ . অপমানে মর্মাহত হইয়া নিজের প্রধান প্রধান সেনাপতিদিগকে ডাকিয়া যুদ্ধসজ্জা করিতে আদেশ দিল । ঘরে ঘরে তখন যুদ্ধের আয়োজন চলতে লাগিল । চারদিকে ত হাক-ডাক আর চীৎকার । রাক্ষসদের এত উৎসাহ যেন রামলক্ষ্মণকে পাইলে তাহারা লুফিয়া খায় । পরদিন প্রাতেই তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হঠল । বাদ্যের ཕི་ཤྲི་མ་, অস্ত্রের •শব্দ এবং রাক্ষস-বানরের কোলাহলে লঙ্কাপুরী র্কাপিয়া উঠিল । সেদিন প্রথমে যাহারা যুদ্ধে আসিয়।ছল তাহাদের জন্য রাম, লক্ষ্মণের অস্ত্র ধরিবার প্রয়োজন হয় নাই কি স্ত শেষে ইন্দ্রজিং আসিয় যখন হুঙ্কার ছাড়িল, তখন আর তঁহার নিশ্চি স্থ থাকিতে পারলেন না । সে মেঘের আড়ালে থাকিয় যুদ্ধ করিত। তাই তাহার সঙ্গে কেহই অঁাটিয়া উঠিত না ।
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৬২
অবয়ব