পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাও ግ » অমনি চারিদিকে “জয়, লক্ষ্মণের জয়” ধ্বনি পড়িয়া গেল। সেই শব্দে রাবণের বুক কঁাপিয়া উঠিল। হায় হায়, কি সর্বনাশ । লঙ্কায় আর বীর নাই ; বাকি শুধু রাবণ। রাবণ মরিলেই মুৰ শেষ হয় ! কিন্তু তাহাকে মারা কি এতই সহজ। শোকে, তুঃখে ও রাগে সে একেবারে মরীয়া হইয়া উঠিয়াছে। ইন্দ্রজিৎ মায়া সীতা কাটয়াছিল ; গায়ের ঝাল মিটাইবার জন্য সে আসল সীতাকেই কাটিতে গেল। তখন মন্ত্রীরা বলিল, “মহারাজ, আপনার মত বীরের যোগ্য কাজ এ নয়। রাম, লক্ষ্মণ আপনার শত্ৰু, তাহাদিগকেই দণ দেওয়া সর্বাগ্রে উচিত।” মন্ত্রীদের কথায় লজ্জিত হইয়। রাবণ সীতাকে ছাড়িয়া যুদ্ধস্থলে ছুটিয়া আসিল আর ভয়ঙ্কর শক্তি ও শূল লইয়। এমন তেজের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিল যে, বড় বড় বানরেরাও ভয়ে জড়সড় ! বিভীষণকে দেখিয়া সে একটা শক্তি ছুড়িয়া মারিল, লক্ষ্মণ তাহা কাটিয়া ফেলিলেন ; কিন্তু রাবণের আর একটা শক্তি লক্ষ্মণ এড়াইতে পারিলেন না—তাহার তেজে নিজেই অজ্ঞান হইয়। পড়িলেন। হনুমানকে আবার ঔষধ আনিতে যাইতে হইল । ঔষধের গুণে এবারও লক্ষ্মণ ভাল হইয়া উঠিলেন । এইবার রাম-রাবণের মহাযুদ্ধ আরম্ভ হইল। সে এমন ভীষণ যুদ্ধ যে, দেবতারা পর্যন্ত আসিয়া জড় হইলেন। অমুরেরাও আসিল । রামের জয়ে দেবতারা নাচিয়া উঠেন, রাবণের জয়ে অমুরের লাফাইতে থাকে । রাবণের এক হাতে শক্তি আর এক হাতে শূল ; রামের হাতে