পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটদের রামায়ণ עוד দিলেন, তেমনই অতি সুন্দর ভাবে রাম-চরিত গান করিতেও শিখাইলেন। আশ্রমে আশ্রমে কুশ ও লব যখন গান করিয়া ৰেড়াইত, তখন সেই সকল স্থান আনন্দময় হইয়া উঠিত । এদিকে রামের দিনগুলি এতকাল যে কি ভাবে কাটিতেছিল, তাহা ভাবিলে চক্ষে জল আসে । যে সীতা তাহার প্রাণের চেয়েও প্রিয়, র্যাহাকে এক মুহূর্ত না দেখিলে তিনি চারিদিক অন্ধকার দেখিতেন, র্তাঙ্গাকে ছাড়িয়া রাম বাচিয়াছিলেন বটে, কিন্তু বাচিয়াও যেন তাহাকে মৃত্যু-যন্ত্রণাই ভোগ করিতে হইতেছিল। সীতাকে বনে পাঠাইবার বার বৎসর পরে রাম পুরোষ্ঠিত ও মন্ত্রিগণের পরামর্শে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করিলেন । ক্রমে রাজা-মহারাজ, মুনি-ঋষি, ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতে অযোধ্যা ভরিয়া গেল । ঢাক-ঢোল, র্কাসর-ঘণ্টা ও শঙ্খধ্বনিতে চারিদিক্‌ গম-গম্‌ করিতে লাগিল । Q যজ্ঞ আরম্ভ হইলে, গৈরিক বসন পরিয়া মাথায় জটা বাধিয়? কুশ-লব বাল্মীকির সহিত রামের সভায় উপস্থিত হইল আর বীণা বজাইয়া এমণ মধুর স্বরে রায়ায়ণ-গান করিতে লাগিল যে, কেহই চোখের জল রাখিতে পারলেন না । ū הוא আহা, শিশু দুইটি দেখিতে কি সুন্দর। ঠিক যেন আর দুইটি রাম। সকলে অবাক হইয়া চাহিয়া রহিল । কৌশগ্য। আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। কুশ ও লবকে বুকে টানিয়া লইয়া ব্যাকুলভাবে তাহাদের পরিচয় জিজ্ঞাস করিলেন। তখন তাহারা একবাক্যে বলল, “আমরা বাল্মীকির শিষ্য ;