বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
জওহরলাল

কি একটা নিদারুণ রাগ গর্জ্জিয়া গর্জ্জিয়া উঠিত—মনে হইত, তাঁহার দলবল লইয়া গিয়া তখনি এই নিদারুণ অপমানের প্রতিশোধ তিনি গ্রহণ করেন— মাঝে মাঝে যখন তিনি সংবাদ পাইতেন যে, অমুক ভারতবর্ষীয় রেলে দু’জন ইংরেজ সৈনিকের বেয়াদপীর যোগ্য-প্রত্যুত্তর দিয়াছে, তখন গর্ব্বে বালকের মন ফুলিয়া উঠিত, মনে হইত, এখনি ছুটিয়া গিয়া সেই লোককে তাঁহার অন্তরের শ্রদ্ধা জানান!

 সন্ধ্যাবেলায় বাড়ীতে মজলিস বসিত। বাহির হইতে মতিলালের বন্ধুগণ সেই আড্ডায় যোগদান করিতেন। বাড়ীর ছেলেদের স্বভাবতই সেখানে থাকিবার উপায় ছিল না। কিন্তু জওহরলালের মনে নিদারুণ কৌতূহল জাগিয়া উঠিত, এই সব বড় বড় লোকেরা কি লইয়া আলোচনা করিতেছে—

 কৌতূহল নিবারণ করিতে না পারিয়া অনেক সময় বালক দরজায় কাণ পাতিয়া তাহাদের কথাবার্ত্তা শুনিতে চেষ্টা করিতেন—সেই অবস্থায় অনেকবার ধরাও পড়িয়া গিয়াছেন—এবং চুরি করিয়া অপরের কথা শোনার দরুন তাঁহাকে শাস্তিও ভোগ করিতে হইয়াছে।

 এই সম্পর্কে একবার এক মজার ব্যাপার ঘটে আগেই বলিয়াছি, পণ্ডিত মতিলাল পূরাপূরি বিলাতী