করিল। ব্যক্তিগতভাবে জওহরলাল কংগ্রেসের এই নূতন ব্যবস্থার মধ্যে স্বাধীনতা- লাভের কোন সুযোগই দেখিতে পাইলেন না, তবুও তিনি, যখন সাধারণ নির্ব্বাচনের সময় আসিল, তখন পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপাইয়া পড়িলেন। তাহার কারণ তিনি লিখিয়াছেন, “ভোট সংগ্রহের ব্যাপারে দেশের জনসাধারণের সঙ্গে যে সাক্ষাৎ পরিচয় হইবে, আমার জীবনে আমি তাহাকে খুব মূল্যবান বলিয়া মনে করিলাম।”
এই নির্ব্বাচন উপলক্ষে জওহরলাল ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত যে রকম বিরামবিশ্রামহীন ভাবে পর্য্যটন করিয়া বেড়ান, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে তাহার তুলনা নাই! এই বিরাট কাজের তিনি একটা আঙ্কিক চিত্র দিয়াছেন, চার মাসের মধ্যে তিনি চল্লিশ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করিয়াছিলেন, এবং এমন যান নাই, যাহা ব্যবহার করেন নাই—এরোপ্লেন, রেল, মোটর, লরী, ঘোড়ার গাড়ী, গরুর গাড়ী, সাইকেল, বোট, ঘোড়ার পিঠে, হাতীর পিঠে, উটের পিঠে এবং পায়ে হেঁটে - প্রতিদিন কমপক্ষে অন্ততঃ বারোটী করিয়া সভায় বক্তৃতা দিতে হইয়াছে—এবং এই সমস্ত সভায় কম পক্ষে অন্তত এক কোটী লোক সমবেত হইয়াছে এবং সমগ্র পরিভ্রমণের মধ্যে সাক্ষাৎ ভাবে অন্তত কয়েক লক্ষ লোকের সহিত পরিচিত হইয়াছেন—