একুশ
নির্ব্বাচনের ফলে কংগ্রেস প্রধান প্রধান প্রদেশে মন্ত্রিমণ্ডল গঠন করিয়া শাসনকার্য্য চালাইতে লাগিলেন। তাঁহাদের কর্ম্ম-ব্যবস্থায় এবং যোগ্যতায় দেশের শাসনতন্ত্রের মধ্যে একটা স্বাদেশিক কল্যাণের রূপ ফুটিয়া উঠিল। জওহরলাল কিন্তু এই মন্ত্রিমণ্ডলীর আবেষ্টন হইতে নিজেকে দূরে রাখিলেন—
কিছুকাল যাইতে না যাইতে জওহরলাল যাহা আশঙ্কা করিয়াছিলেন, তাহাই ঘটিতে লাগিল। কংগ্রেসী মন্ত্রীদের সহিত বৃটিশ-শাসন-যন্ত্রের যাহারা মূল ভিত্তি, সেই সিভিলসার্ভিস এবং পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিল—এবং এই দ্বন্দ্বের মধ্যে নূতন স্বায়ত্ত শাসনের ফাঁকি স্পষ্টত ধরা পড়িল। তাহা ছাড়া জওহরলাল দেখিলেন, মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করার ফলে তাঁহার সহকর্ম্মী কংগ্রেস নেতারা ক্রমশ কংগ্রেসকর্ম্মপন্থা এবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হইতে দূরে সরিয়া যাইতেছেন।
কোনও দিন তিনি অন্তরের বিশ্বাসকে চাপিয়া রাখিয়া দলগত ঐক্যের পিছনে সায় দিয়া যাইতে শিখেন নাই। তাই কংগ্রেস ওয়ারকিং কমিটীর সহিত তাঁহার ঘোরতর বিরোধ দেখা দিল। তিনি