সেই সময় দেশে এক নূতন আকাশ হইতে এক নূতন গ্রহের আলো আসিয়া পড়িয়াছে। সুভাষচন্দ্রের ইণ্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্ম্মির কীর্ত্তি ও বীরত্বের কথা প্রত্যেক ভারতবাসীর চেতনায় এক নূতন আশার সম্ভাবনা জাগাইয়া তুলিয়াছে। ভারত-সরকার অবরুদ্ধ আই-এন্-এর সেনা-নায়কদের বিচারের জন কোর্ট মার্শাল বসাইলেন।
দেশবাসী ও কংগ্রেসের পক্ষ হইতে জওহরলাল এই স্বদেশের মুক্তিকামী বীর পুরুষদের মুক্তির জন্য তীব্র আন্দোলন সুরু করিলেন। এই সময় ভারতের একপ্রান্ত হইতে আর একপ্রান্ত পর্যন্ত স্তিমিত জাতীয় চেতনা এই একটী লোকের কণ্ঠে যেন নব-জীবন লাভ করিল। বিরাট ফুৎকারে উপরের পুঞ্জীভূত ভস্মস্তূপ সরাইয়া ফেলিয়া জওহরলাল ধূমায়মাণ অগ্নিকণাকে আবার অগ্নিশিখায় পরিণত করিলেন। সমগ্র জাতি একটা বৈপ্লবিক চেতনায় জাগ্রত হইয়া উঠিল।
অপূর্ব্ব কর্ম্মতৎপরতায় জওহরলাল বন্দীবীরদের পক্ষ সমর্থনের জন্য দেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্ঘবদ্ধ করিলেন এবং বহুদিন পরে তিনি পুনরায় আবার বহুদিন উপেক্ষিত ব্যারিষ্টারের পোষাক অঙ্গে ধারণ করিলেন।