বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
১১৩

 এই বিচারের ফলে দেশের মধ্যে যে গণ-চেতনা জাগিয়া উঠিল, জওহরলাল তাহার পূর্ণ সুযোগ লইয়া কংগ্রেস আন্দোলনকে চরমতার সর্ব্বোচ্চ শিখরে আনিয়া তুলিলেন। মহাত্মা গান্ধী দুইটী কথায় এই জাগ্রত চেতনাকে রূপ দিলেন ‘ভারত ছাড়।’

 এই ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফল স্বরূপ বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা দিবার প্রস্তাবকে স্বীকার করিয়া লইল এবং ভারতবর্ষে মন্ত্রি মিশন প্রেরিত হইল।

 এই মিশনের সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের শাসনতন্ত্র গঠন করিবার জন্য কনষ্টিটুয়েণ্ট এসেম্বলী গঠিত হইল এবং বড়লাটের পুরাতন মন্ত্রিসভা ভাঙ্গিয়া দিয়া জনগণের প্রতিনিধিদের লইয়া নূতন মন্ত্রিসভা গঠিত হইল। এই নূতন মন্ত্রিসভায় জওহরলাল প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্বের সঙ্গে পররাষ্ট্র-সচিবের পদ গ্রহণ করিলেন।

 এক বৎসরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিবরূপে তিনি সমগ্র বহির্জগতের সঙ্গে নব জাগ্রত ভারতবর্যের একটা রাজনৈতিক মৈত্রীর সম্পর্ক গড়িয়া তুলিলেন। ঐন্দ্রজালিকের মত তৎপরতায় তিনি বাহির বিশ্বে ভারতের প্রাধান্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়া ফেলিলেন এবং সেই সঙ্গে এশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্মেলন