অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলিতে পারিতাম না, প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিতে যে আমি ভীত সঙ্কুচিত হইয়া উঠিতাম—সেই আমি দেখিতে দেখিতে আমার অজ্ঞাতে সর্ব্ব-দ্বিধা, সর্ব্ব-জড়তা হইতে মুক্ত হইয়া উঠিলাম— জনতার মাঝখানে গিয়া পড়িলেই বুঝিতে পারিতাম, সেই মূক জনতার মনে কি হইতেছে—যাহাদের চিনিতাম না, জানিতাম না, তাহাদের দেখিলেই তাহাদের মনের সংবাদ পর্য্যন্ত যেন চোখে ধরা পড়িয়া যাইত—আমার দম্ভে আমি ছিলাম একাকী — সহসা আমার সেই একাকিত্ব ভাঙ্গিয়া-চুরিয়া আমিও জনতার একজন হইয়া গেলাম-আমি জনতাকে চিনিলাম, জনতাও আমাকে চিনিল-”
অসহযোগ আন্দোলনের মুখে গভর্ণমেণ্ট নির্বিচারে দলে দলে লোককে কারারুদ্ধ করিয়াছিল। কিন্তু তাহার ফলে কারাগার সব ভরিয়া উঠিল—কারাগার নিয়ন্ত্রণের নানা সমস্যা জাগিয়া উঠিল। তখন গভর্ণমেণ্ট দলশুদ্ধ লোককে এক সঙ্গে কারারুদ্ধ করার নীতি পরিত্যাগ করিয়া বাছিয়া বাছিয়া “মাথা”গুলিকে ধারয়া রাখিতে লাগিল। এই নীতির ফলে কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা একে একে সবাই তখন কারাগারে গিয়ে উঠিতে লাগিলেন। সারা দেশময় একটা ধর-পাকড়ের রব পড়িয়া গেল। ভারতীয় সৈন্য-মহলে বিদ্রোহ প্রচার করার অপরাধে আলী