ভ্রাতৃদ্বয় ইতিমধ্যেই কারারুদ্ধ হইয়াছিলেন। ঠিক সেই সময় প্রিন্স অফ ওয়েল্স ভারত পরিভ্রমণে আসিলেন। গভর্ণমেণ্ট প্রিন্স অফ ওয়েল্স্-কে অভ্যর্থনা করিবার জন্য তিনি যেখান যেখান দিয়া যাইবেন, সেখানে সেখানে প্রকাশ্য অভিবাদন ও উৎসবের আয়োজন করিল। কংগ্রেস তাহার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারী করিল, যুবরাজ যেখান দিয়া যাইবেন, জনতা যেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত উৎসব বয়কট করে, সেদিন যেন সকলেই হরতাল পালন করে। কংগ্রেসের এই চাল ব্যর্থ করিবার জন্য, গভর্ণমেণ্ট বাংলা কংগ্রেসের ভলানটিয়ার বাহিনীকে বে-আইনী সঙ্ঘ বলিয়া ঘোষণা করিলেন।
বাংলার নিরুদ্ধ-কণ্ঠ আত্মা দেশবন্ধুর বাণীতে অমর ভাষা পাইল, ‘আমার দুই হাতে মনে হইতেছে লৌহশৃঙ্খলের দাগ পড়িয়া গিয়াছে, সারা দেহে শৃঙ্খলের বোঝা-বন্ধনের জ্বালায় দেহমন অগ্নিময়—সারা ভারত আজ বন্ধনশালা - এক বিরাট কারাগারযদি আমি কারাগারে যাই বা তাহার বাহিরে থাকি, তাহাতে কি যায় আসে? যদি আমি এই পৃথিবীতেই না থাকি, তাহা হইলেই বা কি যায় আসে?'
এই জ্বালাময় বাণী সেদিন অন্য বহু যুবকের মনে যে ব্রত উদযাপনের প্রতিভা জাগাইয়া তুলিয়াছিল, জওহরলালের চিত্তেও তাহা এক অপূর্ব্ব অনুরণন