বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
জওহরলাল

জাগাইয়া তুলিল। গভর্নমেণ্ট যুক্ত-প্রদেশের কংগ্রেসবাহিনীকেও বে-আইনী সঙ্ঘ বলিয়া ঘোষণা করিল। জওহরলাল গভর্ণমেণ্টের এই হুমকীর প্রতিবাদে নিজের প্রদেশের ভলানটিয়ার বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করিয়া গড়িয়া তুলিবার জন্য আগাইয়া চলিলেন। প্রতিদিন কাগজে ভলানটিয়ারদের নামের তালিকা প্রকাশিত হইতে লাগিল। প্রথম নাম পড়িল, পণ্ডিত মতিলালের। গভর্ণমেণ্টও কালবিলম্ব না করিয়া আবার ধর-পাকড় শুরু করিল! দলে দলে ভলান্‌‌টিয়ার কারারুদ্ধ হইতে লাগিল।

 জওহরলাল বুঝিলেন, অগ্নি-মন্ত্রে দীক্ষার লগ্ন তাহার আগাইয়া আসিতেছে।যে পথে দলে দলে তাহার সহকর্ম্মীরা কারা-তীর্থে চলিয়াছে, এতদিন পরে সেই পথে তাঁহাকেও চলিতে হইবে। সে পথের আহ্বান স্পষ্ট শুনিতে পাইলেন। কারাগারের সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ পরিচয় তখনও হয় নাই। এক অজানা অনুভূতির নূতনত্বে তাঁহার মন ভরিয়া উঠিল। কবে কোন্ সময়ে ডাক পড়িবে, তাই তিনি কংগ্রেস অফিসে দ্বিগুণ উদ্যমে সমস্ত কাজ সারিয়া লইবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন।

 এই সময়কার ঘটন! সম্পর্কে তিনি লিখিতেছেন— “সেদিন কংগ্রেস আফিসে কাজ করিতে করিতে বেলা হইয়া গিয়াছিল, এমন সময় অফিসের একজন কেরাণী