উত্তেজিত অবস্থায় ছুটিয়া আসিয়া জানাইলেন, পুলিশের লোকে ওয়ারেণ্ট লইয়া আসিয়াছে—বাড়ী ঘেরাও করিতেছে—আমিও যে এই সংবাদে উত্তেজিত হইয়া উঠি নাই, তাহা নয় কারণ আমার জীবনে সেই হইল এই বিষয়ের প্রথম অভিজ্ঞতা—কিন্তু সেই উত্তেজনার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে যৌবনসুলভ এক বাহাদুরী জাগিয়া উঠিল, ভিতরে যতই উত্তেজিত হই না কেন, আমার অফিসের লোকদের সামনে তাহা কিছুতেই প্রকাশ করা হইবে না-পুলিশ আসুক বা যাক, আমি তাহাতে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ থাকিব, এমনিধারা উদাসীন সাজিয়া গেলাম — সেইজন্য একজন কেরাণীকে ডাকিয়া গম্ভীরভাবে আদেশ দিলাম, সার্চের সময় তিনি যেন পুলিশ কর্মচারীর সঙ্গে থাকিয়া তাঁহার সাহায্য করেন এবং অফিসের অন্য সব কেরাণীদের বলিলেন, তাঁহারা যেমন কাজ করিতেছেন, তেমনি করিয়া চলুন। কোথাও যে কিছু ঘটিতেছে, তাহা যেন আমাদের কাজে বা কথায় ধরা না পড়ে ।
“এই সময় আমারই এক সহকর্মী অফিসের বাহিরে ধরা পড়েন; একজন পুলিসের সঙ্গে তিনি আমার নিকট বিদায় লইতে আসিয়াছিলেন। তখন এই বাহাদুরীর উন্মাদনায় আমি এমনি মত্ত যে, স্মরণ করিতে বেদনায় ও লজ্জায় মন ভরিয়া যায়, আমি এই বিদায়-গ্রহণ ব্যাপারটাকেই কোন আমল দিলাম না