বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
জওহরলাল

এবং একান্ত উদাসীন ভাবে বন্ধুটির আগ্রহের কোন উত্তরই দিলাম না। আমার নিকটে যখন পুলিস আসিল, আমি চিঠি লিখিতেছিলাম। গভীরভাবে পুলিসকে অপেক্ষা করিতে বলিলাম, যতক্ষণ আমার চিঠি লেখা না শেষ হয়—তারপর পুলিসের সঙ্গে বাড়ী আসিলাম। সেখানে শুনিলাম, পিতার এবং আমার একই সঙ্গে ওয়ারেণ্ট বাহির হইয়াছে!”

 পিতা ও পুত্রে একই সঙ্গে সেদিন যে-যাত্রা সুরু করিলেন, তাহ! শুধু মৃত্যু আসিয়াই ছিন্ন করিতে পারিয়াছিল।

আট

 সেবার প্রায় ত্রিশ হাজার লোক কারাবাসী হন । যুবরাজ ভারতের নগরে নগরে পরিভ্রমণ করিয়া গেলেন—শূন্য, পরিত্যক্ত নগর—যেন মৃতের দেশ!

 কিন্তু যিনি এই আন্দোলনের জনক, তিনি তখনও জেলের বাহিরে ছিলেন। গভর্ণমেণ্ট যে কোন কারণেই হউক, তাঁহাকে এ-বার স্পর্শ করিল না। সহসা জেলের মধ্যে জওহরলাল শুনিলেন যে, মহাত্মা গান্ধী এই আন্দোলন সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করিয়া লইয়াছেন। এই সংবাদে জওহরলালের মন, অন্য বহু যুবকের মনের মতই ভাঙ্গিয়া পড়িল এবং সেই সঙ্গে