সঙ্গে মনে হইল, মহাত্মা গান্ধী একটা মস্ত বড় ভুল করিলেন। যে উত্তেজনার মুখে জওহরলাল জেলে ঢুকিবার সময় দেশকে দেখিয়াছিলেন তাঁহার ধারণা হইয়াছিল যে, আর খানিকটা সেই উত্তেজনাকে ধরিয়া রাখিতে পারিলে, ভারতে এক বিরাট অহিংস গণবিপ্লব সংশোধিত হইবে- হঠাৎ সেই সময় তিনি তাহার পরিবর্ত্তে শুনিলেন যে, স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী এই আন্দোলন প্রত্যাহার করিয়া লইয়াছেন! তাহার কারণ, চৌরিচৌরা নামক এক অতি নগণ্য জায়গায় একদল উত্তেজিত লোক অহিংস-নীতি ভুলিয়া কতকগুলি পুলিসের লোককে পুড়াইয়া মারিয়াছে।
সেদিন অন্য বহু লোকের ন্যায় জহরলালও গান্ধীজির এই ব্যবহারকে সমর্থন করিতে পারেন নাই। তবে অন্য লোকের ন্যায় তিনি গান্ধীজিকে সরাসরি দোষী বলিয়া নিন্দা করিতে পারিলেন না। কারণ, এই লোকটাকে তিনি যৌবনের অন্তরঙ্গ দৃষ্টি দিয়া ভাল করিয়া দেখিয়া লইয়াছিলেন এবং তাঁহার পাশ্চাত্য শিক্ষার সমস্ত দম্ভ ত্যাগ করিয়া তাঁহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন যে, আর যাহাই হউক, এই ব্যক্তি কোন ভয়ের দ্বারা বিচলিত হন না, কোন মিথ্যার দ্বারা মুগ্ধ হন না। তাই মনে যতই তিনি বেদনা পান না কেন, তিনি বিচার করিয়া দেখিতে লাগিলেন এবং অচিরকালের