বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
জওহরলাল

মধ্যে বুঝিতে পারিলেন যে, এই অভিজ্ঞ জননেতা, যিনি অঙ্কশাস্ত্রের মত জন-নীতি অধ্যয়ন করিয়াছেন, তিনি ভুল করেন নাই। উত্তেজনার মুখে সাধারণ নেতার চোখে যে-সব জিনিষ পড়ে না, অথবা চোখে পড়িলেও যাহা স্বীকার করিতে হইলে নিজেকে প্রকাশ্যভাবে ছোট করিতে হয়, মহাত্মা গান্ধী তাহার ঊর্দ্ধে নিজেকে তুলিতে পারেন।

 চৌরি-চৌরার সেই সামান্য ঘটনার মধ্যে তিনি জনতার মনের যে পরিচয় পাইয়াছিলেন, তাহাতে তিনি শঙ্কিত হইয়া উঠিয়াছিলেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, এইভাবে ঘটনার ধারা চলিলে, অহিংস আন্দোলন অচিরকালের মধ্যেই বিনষ্ট হইয়া যাইবে— ভারতে গণ-উত্থানের সময় এখনও আসে নাই। তাই অনর্থ বাড়িবার মুখেই তিনি সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করিয়া জনতাকে গড়িয়া তুলিবার জন্য আরও সময় লইলেন। কিন্তু গভর্নমেণ্ট গান্ধীজিকে কারাগারের বাহিরে রাখা আর যুক্তিসঙ্গত মনে করিল না । গান্ধীজিও কারারুদ্ধ হইলেন ।

 জওহরলাল এবং পণ্ডিত মতিলালের বিচারে ছয় মাস কারাদণ্ড হইয়াছিল। কংগ্রেসের নীতি অনুযায়ী তাঁহারা বিচারে কোন অংশ গ্রহণ করেন নাই। তবে এই বিচারসম্পর্কে জওহরলাল তাঁহার আত্মচরিতে যে বর্ণনা দিয়াছেন, তাহা হইতে বোঝা