যায় যে, কি হাস্যকর ভাবে এই সব মামলা সাজানো হইত।
জওহরলাল লিখিতেছেন,—“পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, কংগ্রেস ভলান্টিয়ার নামক অবৈধ সমিতির তিনি সভ্য ছিলেন, এবং তাহা প্রমাণ করিবার জন্য একটি কাগজ, তাঁহার স্বাক্ষর-সমেত আদালতে দেখানো হয়। স্বাক্ষরটী হিন্দীতে করা ছিল। হিন্দীতে স্বাক্ষর তিনি ইতিপূর্ব্বে করেন নাই বলিলেই হয়, এবং স্বাক্ষরটি এমন জড়ানো যে খুব কম লোকই বুঝিতে পারে যে, সেটী তাঁহার স্বাক্ষর। স্বাক্ষরটী যে তাঁহার, তাহা প্রমাণ করিবার জন্য আদালতে একজন জীর্ণ-স্থবির লোককে দাঁড় করানো হয়। তিনি হলফ করিয়া বলেন যে তিনি জানেন যে, এটা পিতার স্বাক্ষর। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল এই যে, লোকটী সম্পূর্ণ নিরক্ষর এবং কাগজখানি প্রকাশ্য আদালতে সে উল্টা করিয়াই ধরিয়া পরীক্ষা করিল।”
তিন মাস কারাবাসের পর, জওহরলাল জানিতে পারিলেন যে, পুলিস বুঝিতে পারিয়াছে যে, তাঁহাকে ভুল করিয়া ধরা হইয়াছিল, সুতরাং কারাগারে থাকিবার আর তাঁহার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু মাস দেড়েক কারাগারের বাহিরে থাকিতেই পুলিশ আবার বুঝিল যে, তাহারা ভুল করিয়াছে— জওহরলালের স্থান কারাগারের ভিতরেই হওয়া উচিত।