তাহার মধ্যে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত খুনে ডাকাত কিন্তু সকলেই নিরক্ষর। জেলব্যবস্থার দরুণ তাহাদের মানসিক সংস্কার হওয়া দূরে থাকুক, তাহারা সেই বন্দিদশার একঘেয়ে পরিশ্রমের হাত হইতে মুক্ত হইয়াই আবার নূতন উন্মাদনার আকর্ষণে ছুটিবে— আবার হয়ত ফিরিয়া আসিবে—এইভাবে জেল হইতে জেলে—তাহাদের জীবন সমাজের একটা বৃহৎ অপব্যয়ই হইয়া থাকিবে। জওহরলাল তাঁহার সঙ্গীদের লইয়া এই ধরণের কয়েদীদের পড়াইবার ব্যবস্থা করিলেন। কিন্তু জেলের মধ্যে কর্তৃপক্ষদের সহিত নানারকমের সংঘর্ষ বাঁধিতে লাগিল।
কয়েদীদের সাধারণ সুবিধা-সুযোগ একটির পর একটি তাঁহাদের নিকট হইতে কাড়িয়া লওয়া হইতে লাগিল, তাঁহারাও সঙ্ঘবদ্ধভাবে জেলের মধ্যে নানাভাবে তাঁহাদের মানসিক অভিযোগ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তাহার ফলে জেল-কর্ত্তৃপক্ষ তাঁহাদের কয়েকজনকে “দুষ্ট গোরু” বলিয়া বাছিয়া লইলেন এবং অন্য সব কয়েদীদের সহিত যাহাতে এই দুষ্টের দল মিশিবার কোন সুযোগ না পায়, তাহার জন্য তাহাদের আলাদা করিয়া সেই বৃহৎ জেলের সুদূর প্রান্তে সরাইয়া দেওয়া হইল—
সেই দুষ্ট দলের নেতা ছিলেন, জওহরলাল এবং সেই দলে তাঁহার সঙ্গী ছিলেন, পুরুষোত্তমদাস টাওন,