বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
জওহরলাল

মহাদেব দেশাই, জর্জ যোসেফ, বটকৃষ্ণ শর্মা এবং দেবদাস গান্ধী—

 শাস্তি স্বরূপ বাহির হইতে খবরকাগজ আসা বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু তাহাতে জেলের ভিতর খবর আসা সব সময় বন্ধ হয় না। জওহরলালও সেই অজ্ঞাত রহজনক উপায়ে বাহিরের জগতের যে সব সংবাদ পাইতেন, তাহাতে তাঁহার মন উল্লসিত হইবার মতন কোন উপাদান খুঁজিয়া পাইত না। সমস্ত কংগ্রেস আন্দোলন যেন স্তিমিত হইয়া আসিয়াছে। অন্য বহু লোকের ন্যায়, জওহরলালের মনেও তখন এই ক্ষোভ হইত যে, জাতির জাগরণের সে শুভলগ্ন, যাহাকে ইংরাজী ভাষায় তিনি 'ম্যাজিক মোমেণ্ট' বলিয়াছেন, তাহা যেন আসিয়া চলিয়া গিয়াছে— তাহার সুযোগ জাতি লইতে পারে নাই—নেতারাও তাহাকে ফিরিয়া যাইতে দিয়াছেন—আবার সে লগ্ন কবে আসিবে, কে বলিতে পারে?

 কারাগারের ভিতরে থাকিয়াই তিনি খবর পাইলেন যে, কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যেও দলাদলি দেখা দিয়াছে এবং কংগ্রেস দুইটি স্পষ্ট দলে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে। এক দলের নাম হইয়াছে, নো-চেন্‌জার অর্থাৎ যাঁহারা পরিবর্ত্তন চান না, আর এক দলের নাম হইয়াছে, প্রো-চেন্জার, অর্থাৎ যাহারা পরিবর্ত্তনের স্বপক্ষে। প্রথম দলের নেতা হইলেন,