মাদ্রাজের সি, রাজাগোপালচারি, কংগ্রেসের পুরাতন অসহযোগ প্রোগ্রামের কোন পরিবর্ত্তন করিতে তিনি সম্মত নন্; দ্বিতীয় দলের নেতা হইলেন, বাংলার দেশবন্ধু এবং যুক্তপ্রদেশের পণ্ডিত মতিলাল, তাঁহাদের মত হইল, আগামী নির্ব্বাচনে যোগদান করিয়া নূতন আইনসভার সমস্ত আসন দখল করিয়া লওয়া এবং সেখানে গিয়া আমলাতন্ত্রকে যথাযোগ্য ভাবে বাধা দেওয়া।
শাসন-পরিষদে যাওয়া না-যাওয়া লইয়া সারা দেশময় তখন দলাদলির এক কুৎসিত রূপ ফুটিয়া উঠিল, যাহার অন্তরালে কংগ্রেসের সেই বিপুল আদর্শবাদ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হইয়া যাইতে লাগিল। এই সমস্ত চিন্তা কারাগারে জওহরলালকে পীড়িত ও চিন্তিত করিয়া তুলিতে লাগিল। চিন্তার সবচেয়ে বিশেষ কারণ ছিল যে, তখন গান্ধীজি স্বয়ং দীর্ঘমেয়াদে কারারুদ্ধ।
এই দুশ্চিন্তা এবং নৈরাশ্যের সহিত কারাজীবনের বাধ্যতামূলক একঘেয়েমির বোঝা মিলিয়া তাঁহার মনকে ব্যাকুল করিয়া তুলিল। সেই বৈচিত্র্যহীনতার হাত হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্য তিনি প্রতিদিন রাত্রিবেলায় একদল নূতন সঙ্গীর সহিত দেখাশোনার ব্যবস্থা করিয়া লইয়াছিলেন—অবশ্য জেল কর্ত্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে অন্য সকলের অগোচরে প্রতিদিন মাথার