এলাহাবাদ মিউনিসিপ্যালিটীর সর্বময় কর্তার আসনে জওহরলালকে বসাইবার প্রস্তাব হইল।
একটা লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, সেই বৎসরে ভারতবর্ষের বড় বড় মিউনিসিপ্যালিটীতে সর্ব্বোচ্চ আসনে একজন না একজন কংগ্রেসের নেতা বসিয়াছিলেন। কলিকাতায় দেশবন্ধু মিউনিসিপ্যালিটী হইতে কলিকাতার প্রথম মেয়র হইলেন, বম্বে করপোরেসনের প্রেসিডেণ্ট হইলেন মিঃ বিঠলভাই প্যাটেল, আহমদাবাদে বল্লভভাই প্যাটেল, যুক্তপ্রদেশেও সেই পন্থা অনুসরণ করিয়া জওহরলাল এলাহাবাদ মিউনিসিপ্যালিটীর ভার লইলেন। ভার লইয়াই তিনি বিপুল উদ্যমে নগর-সংস্কারের কাজে লাগিয়া গেলেন। এই সময় জওহরলালের উপর আর এক কাজের দায়িত্ব আসিয়া পড়িল, নিখিল ভারত কংগ্রেসের সেক্রেটারীর পদ। দিনে পনেরো ষোল ঘণ্টা করিয়া তিনি তখন খাটেন।
এই সময় হঠাৎ আর একদিক হইতে সুচতুর উপায়ে জওহরলালের উপর প্রভাববিস্তারের চেষ্টা হইতে লাগিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার গ্রীন্ঊড মিয়ার্স উপযাচক হইয়া পত্র লিখিয়া জওহরলালের বন্ধুত্ব প্রার্থনা করিলেন। ক্রমশঃ স্যার মিয়ার্স এই পরিচয়কে নিজের চেষ্টায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে পরিণত করিলেন। নানাভাবে তিনি