তিনি লিখিয়াছেন—ইহা ভাবিতেও আমার ঘৃণা বোধ হইত।
এই সময় জওহরলালের জীবনে এমন একটা অপ্রিয় ঘটনা ঘটিল, যাহার মধ্য দিয়া তিনি ভারতবর্ষের একটি গভীর ক্ষতস্থানের সাক্ষাৎ পরিচয় পাইলেন। 'সে ক্ষতস্থানটী হইল, ভারতের নেটিভ ষ্টেট। বৃটিশ শাসনের অধীন, এই বিংশশতাব্দীতে, এই সব ষ্টেটের কোন কোনটীতে, এখনও বর্ব্বর-যুগের অন্ধকার সমান প্রতাপে রাজত্ব করিয়া চলিয়াছে। ভারতবর্ষে যেমন বিভিন্ন জাতির লোক, ধর্ম্ম ও ভাষা পাশাপাশি কলরব করিয়া চলিয়াছে, তেমনি এখানে রহিয়াছে পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সভ্যতা—আদিম বর্ব্বরতা হইতে আরম্ভ করিয়া বর্তমান যুগের সাম্যবাদের স্বপ্ন পর্য্যন্ত—অথবা বলা যাইতে পারে সভ্যতার যে-সব স্তর জগতের অন্যত্র মরিয়া পচিয়া গলিয়া বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, ভারতবর্ষের সভ্যতার মিউজিয়ামে আজও তাহা সংরক্ষিত করিয়া রাখা হইয়াছে।
পাতিয়ালা এবং নাভা নামে দুই শিখ নেটিভ স্টেট আছে। এই দুই নেটীভ ষ্টেটের শাসকদের মধ্যে অনবরত ঝগড়ার ফলে নাভার মহারাজ সিংহাসনচ্যুত হন এবং তাঁহার বদলে একজন বৃটিশ রাজকর্মচারী সেই ষ্টেট শাসন করিতে থাকেন। এই