ব্যাপারে শিখেরা অসন্তুষ্ট হইয়া প্রকাশ্য আন্দোলন দ্বারা নিজেদের অসন্তোষ জানাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। এহেন সময় জাইটো নামে এক গ্রামে শিখেদের এক উপাসনা চলিতেছিল, বৃটিশ প্রতিনিধি সেই উপাসনা বন্ধ করিয়া দিবার হুকুম দিলেন এবং কোন লোক যাহাতে সেই মন্দিরে গিয়া উপাসনায় যোগদান না করিতে পারে, তাহারও ব্যবস্থা করিলেন। এই ব্যাপারে শিখেরা আরও ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল এবং এই বৃটিশ প্রতিনিধির আদেশ অমান্য করিয়া তাহারা দলে দলে সেই মন্দিরের অভিমুখে যাত্রা করিল। কিন্তু মন্দিরে পৌঁছিবার আগেই পুলিশ এবং সৈন্যরা তাহাদের আক্রমণ করিল।
বেয়নেটের আঘাতে, গুলির আলিঙ্গনে, মন্দিরযাত্রীরা ধূলায় শুইতে লাগিল। পুলিশের বেয়নেট যত চলে, মন্দির-যাত্রীদের চলিবার আকাঙ্ক্ষা ততই তীব্র হইয়া উঠে। এই নিত্য নির্ম্মম ব্যবহার এখন সারা ভারতবর্ষের দৃষ্টি আবর্ষণ করিল, অন্তত জওহরলালকে এই মন্দির-যাত্রীর দল তীব্রভাবে আকর্ষণ করিল।
মৃত্যুকে উপেক্ষা করিয়া যাহারা পথ চলিতে জানে, জওহরলাল ছিলেন মনেপ্রাণে তাহাদেরই সঙ্গী। তাই তিনি ঠিক করিলেন, জাইটো গিয়া স্বচক্ষে ব্যাপারটি দেখিয়া আসিবেন।