হাতের হাতকড়ার সঙ্গে জুড়িয়া দেওয়া হইয়াছিল। হাতকড়ার সঙ্গে একটা লোহার “ছিকলি” ছিল। পুলিশের লোকটী সেই ছিকলি ধরিয়া চলিয়াছিল। গিডওয়ানীর একটু বরাৎ ভাল ছিল। তাহারও হাতে হাত-কড়া এবং ছিকলি ছিল, তবে অন্য কাহারও সহিত তাহা সংযুক্ত ছিল না। এই অবস্থায় রাস্তা দিয়া হাঁটাইয়া তাঁহাদের ষ্টেশনে লইয়া আসা হইল এবং ট্রেনে কারয়া নাভায় গিয়া নাভা জেলে তাঁহাদের তুলিয়া দেওয়া হইল; এবং হাতকড়া বাঁধা অবস্থাতেই জওহরলাল ও সান্তানুমকে একঘরে চাবি দিয়া রাখা হইল! দুইজনের হাত একসঙ্গে হাতকড়া বাঁধা। সুতরাং একজনকে নড়িতে হইলে, অপরকেও নড়িতে হয়। এই অপূর্ব্ব-বন্ধন-দশার নূতনত্বের মধ্যে জওহরলাল বেদনার অপেক্ষা কৌতূহলই বেশী অনুভব করিয়াছিলেন। তাঁহার শিক্ষা এবং মানসিক গঠন, উচ্ছ্বাস অথবা আত্ম-বিলাসিতার ধার ধারিত না। যেদিন রাজনীতি জীবনের ধর্ম্ম বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেদিন তিনি এই ধরনের অভিজ্ঞতার জন্য নিজের মনকে প্রস্তুত করিয়া লইয়াছিলেন, তাই তাঁহার বিরাট আত্মচরিতের মধ্যে আমরা তাঁহার নিজের কথা খুব কমই শুনিতে পাই।
প্রতিদিন তাঁহাদের সেই অবস্থায় আদালতে আনা হইত এবং আদালতের কাজ হইয়া গেলে আবার