কিন্তু সেই দিনই সন্ধ্যাবেলা পুলিশের কর্তা জেলে আসিয়া তাঁহাদের জানাইয়া গেলেন যে, তাঁহাদের দণ্ড আপাতত মুলতুবী রাখা হইয়াছে, সুতরাং তাঁহারা এখন ফিরিয়া যাইতে পারেন; এবং এই দুর্লভ অভিজ্ঞতা লাভ করিবার পর তাঁহারা আবার এলাহাবাদে ফিরিয়া আসিলেন।
সেই বৎসর দক্ষিণ দেশে ককোনদে কংগ্রেসের যে অধিবেশন হইল, তাহার সভাপতি হইলেন মহম্মদ আলী। মহম্মদ আলী জওহরলালকেই সেক্রেটারীরূপে মনোনীত করিলেন। এই পদগ্রহণে জওহরলালের তখন যথেষ্ট আপত্তি ছিল, কিন্তু মহম্মদ আলীর সনির্বন্ধ অনুরোধে তাঁহাকে গ্রহণ করিতেই হইল। যদিও এই দুইজনের মধ্যে মানসিক গঠনের যথেষ্ট বৈষম্য ছিল—মহম্মদ আলী ছিলেন একজল ধর্ম্মনিষ্ঠ লোক, ধর্ম্মসম্বন্ধে জওহরলাল ছিলেন উদাসীন—তবুও মহম্মদ আলী ভারতের নবীন যুবকদের মধ্যে জওহরলালকেই সব চেয়ে বেশী ভালবাসিতেন।
এই ধর্মের ব্যাপার লইয়া দুইজনের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ চলিত, সেইজন্য জওহরলাল চেষ্টা করিয়া সে প্রসঙ্গ তাঁহার সামনে উত্থাপন করিতেন না। কিন্তু এই চেষ্টাকৃত নীরবতা মহম্মদ আলী সহ্য করিতে পারিতেন না, তিনি নিজেই উপযাচক হইয়া ধর্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে নানা প্রশ্ন তুলিতেন এবং যাহাতে জওহরলাল