তাঁহার শুষ্ক বৈজ্ঞানিক মতবাদ ত্যাগ করিয়া ধর্ম্ম সম্বন্ধে সচেতন হন, তাহার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। ধর্ম্ম বা ঈশ্বর সম্বন্ধে মহম্মদ আলী এত সচতেন থাকিতেন যে, কংগ্রেসের প্রস্তাবের মধ্যে যেখানেই কোন সুযোগ পাইতেন, সেখানেই তিনি “ঈশ্বরের দয়ায়” অথবা ঈশ্বরের নাম যে কোন প্রকারে উল্লেখ করিতেন, কিন্তু তাঁহার সেক্রেটারী প্রস্তাবের ভাষা হইতে সেই কথাগুলি তুলিয়া দিতে চাহিতেন। ইহা লইয়া আবার দুইজনে বাদানুবাদ করিত।
পরের বৎসর বেলগমে যে কংগ্রেসের অধিবেশন হইল তাহাতে মহাত্মা গান্ধী সভাপতি হইলেন। মহম্মদ আলীর মত তিনিও জওহরলালকে সেক্রেটারীরূপে বাছিয়া লইলেন। ইহার পরের বৎসর কানপুরে যখন কংগ্রেসের পুনরধিবেশন হইল, তখন জওহরলাল বাহিরের কাজে এবং মানসিক দুশ্চিন্তায় খুবই বিব্রত হইয়া পড়িয়াছেন।
কংগ্রেসের সেক্রেটারীর কাজ ছাড়া, এলাহাবাদ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানের কাজও তখন তাঁহাকে করিতে হইতেছিল। এই সমস্ত কাজের মধ্যে আর একটি কাজ ছিল, পীড়িত স্ত্রীর সেবা। তাঁহার স্ত্রী কমলা নেহরু বহুদিন হইতে অসুখে ভুগিতেছিলেন এবং ক্রমশই তাঁহার অবস্থা খারাপ হইয়া