আসিতেছিল। জওহরলাল তাঁহাকে হাসপাতালে রাখিতে বাধ্য হন কিন্তু সেখানেও বিশেষ কোন অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকগণ সুইজারল্যাণ্ডে বায়ুপরিবর্তনের পরামর্শ দিলেন।
জওহরলাল স্থির করিলেন স্ত্রীকে লইয়া সুইজারল্যাণ্ডে যাইবেন।
এই সিদ্ধান্তের পিছনে স্ত্রীর ভগ্নস্বাস্থ্যের আশা ছাড়াও তাঁহার নিজের দিক হইতে আরও একটি ইচ্ছা ছিল। কংগ্রেসের কাজের মধ্যে তাঁহার মন কোন তৃপ্তি পাইতেছিল না—নানারকমের সন্দেহে এবং সংশয়ে তাঁহার মন অবসন্ন হইয়া আসিতেছিল— তাই তিনি স্থির করিলেন দূরে গিয়া নিরপেক্ষভাবে সমস্ত ব্যাপারটা একবার ভাল করিয়া বিশ্লেষণ করিয়া দেখিবেন।
এগার
১৯২৬ সালের মার্চ্চ মাসে অসুস্থ পত্নীকে সঙ্গে লইয়া জওহরলাল আবার ইউরোপের দিকে অগ্রসর হইলেন। প্রায় দেড় বৎসরকাল য়ুরোপে বাস করিয়া জওহরলাল সস্ত্রীক যখন ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিলেন, তখন মাদ্রাজে কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন বসিতেছিল। এই দেড় বৎসর কাল ভারতবর্ষ হইতে