বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
জওহরলাল

দূরে য়ুরোপে বাস করার ফলে জওহরলাল যখন ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিলেন, তখন তাঁহার মনে কতকগুলি সিদ্ধান্ত বেশ স্পষ্ট আকার ধারণ করিয়াছে।

 প্রথম য়ুরোপ-প্রবাসের ফলে তিনি য়ুরোপে বসিয়া সে সব বিশ্বপ্রগতির ধারা স্বচক্ষে লক্ষ্য করিয়াছিলেন, তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, ভারতবর্ষকে সেই সব বিশ্বজনীন ভাব-ধারার সঙ্গে সঙ্গতি রাখিয়া চলিতে হইবে—জগতের ঘটনাপ্রবাহ হইতে বিচ্ছিন্ন থাকিয়া আর কোন দেশ স্বতন্ত্রভাবে নিজের ভাগ্য নিজের মতন করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারিবে না-বিশ্বঘটনার প্রবাহের মধ্যে প্রত্যেক দেশ তরঙ্গ-সূত্রে আবদ্ধ— সেইজন্য ভারতবর্ষকেও সেই সব ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে যোগসূত্র রাখিতে হইবে—কর্ম্মক্ষেত্রে তাহা রাজনৈতিক কারণে সম্ভব না হইলেও, আইডিয়ার দিক হইতে তাহার পথ বন্ধ করিয়া রাখিলে চলিবে না।

 দ্বিতীয়, এতদিন পর্য্যন্ত কংগ্রেস তাহার রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যে সব বিবৃতি দিয়াছে, যেমন স্বরাজ, স্বায়ত্ত-শাসন ইত্যাদি সেই সব অস্পষ্ট কথাগুলি বাদ দিয়া কংগ্রেসকে দ্ব্যর্থহীন রাজনৈতিক ভাষায় তাহার আদর্শকে স্পষ্ট করিয়া ব্যক্ত করিতে হইবে—এবং সে আদর্শ হইল, ভারতের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা।