তৃতীয় হইল, রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের পিছনে একটা তেমনিই প্রবল সামাজিক আন্দোলনের যোগ থাকা চাই-ভারতের গ্রাম্য জীবনের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এত ত্রুটী আছে যে, তাহা সংশোধন না করিয়া রাজনীতিক্ষেত্রে বহুদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয় ।
য়ুরোপ হইতে ফিরিয়া আসিয়া জওহরলাল কংগ্রেস আন্দোলনের মধ্যে এই তিনটী ভাবধারার প্রভাব বিস্তার করিবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করিতে লাগিলেন। বিশেষ করিয়া শেষোক্ত ধারা সম্বন্ধে তিনি বিচার করিয়া দেখিলেন যে, যেহেতু কংগ্রেস আজ রাজনৈতিক আন্দোলন লইয়া বিশেষভাবে বিব্রত, তাহার পক্ষে সামাজিক সংস্কারে নামা এখন সম্ভব হইবে না, সুতরাং সেক্ষেত্রে তিনি স্থির করিলেন যে, কংগ্রেসের কোনও পদ তিনি লইবেন না। গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া শেষোক্ত আন্দোলনের জন্য তিনি নিজেকে মুক্ত রাখিবেন। কিন্তু তাঁহার সে কল্পনা কার্য্যকরী হইবার আগেই কংগ্রেস তাঁহাকে আবার টানিয়া লইল।
মাদ্রাজের অধিবেশনে যোগদান করিয়া তিনি কতকগুলি নূতন প্রস্তাব কংগ্রেসের সম্মুখে উপস্থিত করিলেন। তিনি যে সব সিদ্ধান্ত নিজের মনে গড়িয়া তুলিয়াছিলেন, এই প্রস্তাবগুলি সেই সম্পর্কেই। তিনি