বিস্মিত হইয়া দেখিলেন যে, তাঁহার সমস্ত প্রস্তাবগুলিই গৃহীত হইল। তখন তাঁহার মনে সন্দেহ জাগিল যে, যাঁহারা তাঁহার প্রস্তাব সমর্থন করিয়াছেন, তাঁহারা নিশ্চয়ই সেই প্রস্তাবের মর্ম্ম স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেন নাই। বিশেষ করিয়া পূর্ণ-স্বাধীনতার প্রস্তাব-সম্বন্ধে তিনি অচিরকালের মধ্যেই বুঝিতে পারিলেন যে, তাঁহার সন্দেহ অমূলক হয় নাই। সেই পূর্ণ-স্বাধীনতার প্রস্তাব লইয়া ওয়ার্কিং কমিটীতে তীব্র বাদানুবাদ জাগিয়া উঠিল ।
ইতিমধ্যে জওহরলাল পুনরায় কার্যকরী ভাবে কংগ্রেসের সহিত জড়াইয়া পড়িলেন। মাদ্রাজ অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন ডাঃ আনসারী। তিনি জওহরলালকে ধরিয়া বসিলেন, অন্তত তাহার সময়টুকু জওহরলালকে কংগ্রেসের সেক্রেটারীর দায়িত্ব বহন করিতে হইবে। জওহরলাল সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিলেন না, যদিও তিনি বুঝিলেন যে, কংগ্রেসের সেক্রেটারীর পদ তাহার এক রকম একচেটিয়া হইয়া উঠিতেছিল।
মাদ্রাজ কংগ্রেসের কয়েকমাস পরে ভারতবর্ষে সাইমন কমিশন আসিল। কংগ্রেস এই কমিশনকে বয়কট করিবার জন্য অনুজ্ঞা জারী করিল । সারা দেশে সাইমন কমিশনের বয়কট- ব্যাপার লইয়া তুমুল সাড়া পড়িয়া গেল এবং পাঞ্জাবে লালা লজপৎ রায়ের