অকাল-মৃত্যু এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করিয়া তুলিল।
এই বয়কট সম্পর্কে এক শোভাযাত্রা পরিচালনা করিবার সময় লালাজী পুলিশ কর্তৃক প্রহৃত হন এবং তাহার কয়েকদিন পরে সেই আঘাতের প্রতিক্রিয়ার ফলে দেহত্যাগ করিতে বাধ্য হন। এই শোচনীয় মৃত্যুর ফলে জনসাধারণ যেমন একদিকে মর্ম্মাহত হইল— অন্যদিকে তেমনই সাইমন কমিশন বয়কট আন্দোলন আপনা হইতেই জনতার মধ্যে ছড়াইয়া পড়িল। সাইমন কমিশন যেখানেই যান, সেখানেই কৃষ্ণপতাকাধারী কংগ্রেস-ভলাণ্টিয়ারের দল “ফিরে যাও সাইমন” বাণীতে তাঁহাদের অভিনন্দন জানায়। পুলিস আর সৈন্য আসিয়া নির্ম্মমভাবে জনতার উপর পড়িয়া প্রহারে জর্জ্জরিত করিয়া তাহাদের দল ভাঙ্গিয়া দিতে লাগিল। কিন্তু কমিশানের অভিনন্দনের পক্ষ হইতে তাহা স্বভাবতই কুৎসিৎ হইয়া উঠিতে লাগিল।
জওহরলাল তখন ছিলেন লাক্ষ্ণৌ শহরে। সাইমন কমিশন আসিয়া পৌঁছিবার আগের দিন তিনি শোভাযাত্রী দলের সহিত পথে বাহির হইলেন। ভারতের অন্যত্র যাহা ঘটিতেছিল, সেদিন লক্ষ্ণৌ শহরেও তাহা ঘটিল। অশ্বারোহী পুলিশ ও সৈন্যের দল তাঁহাদের উপর আসিয়া পডিল এবং নির্ম্ম্মমভাবে প্রহার সুরু