করিল। অন্য সকলের সহিত জওহরলালও সেই আঘাতের অংশ লইলেন। কংগ্রেসের ব্যবস্থা-অনুযায়ী এক একজন নেতার অধীনে ষোলো জন করিয়া ভলান্টিয়ার লইয়া এক একটা শোভাযাত্রা গঠিত হইয়াছিল। আক্রমণকারী পুলিশের দল যখন ঘোড়া শুদ্ধ ঘাড়ে চড়িয়া প্রহার সুরু করিল, ভলা্ন্টিয়ারগণ, প্রথম ধাক্কা দাঁড়াইয়া সামলাইল। কিন্তু আক্রমণ তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাহারা আত্মরক্ষার স্বাভাবিক নীতি অনুযায়ী সামনের দোকানে এবং ফুটপাথে উঠিয়া দাঁড়াইল। পুলিস সেখানেও তাহাদের অনুসরণ করিল।
জওহরলালের জীবনে লাঠি-প্রহার এই প্রথম। তাঁহার আত্মচরিতে এই সম্পর্কে তিনি লিখিতেছেন—“প্রথম দু’টী জোর আঘাতের পর আত্মরক্ষা স্বাভাবিক প্রবৃত্তির বশে পা দুইটী একবার ফুটপাথের দিকে আগাইয়া গেল কিন্তু পর মুহূর্ত্তেই মনের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব জাগিয়া উঠিল। আমি কি এতই ভীরু আর কাপুরুষ? পা থামিয়া গেল, যেখানে দাঁড়াইয়া ছিলাম, সেইখানেই দাঁড়াইয়া রহিলাম—দেখি, আমি একা—আমার চারিদিকে সব ক্রুদ্ধ ক্রূর মুখ!”
সেদিন রাত্রিতে তাহারা যখন কংগ্রেস অফিসে ফিরিয়া গেলেন, তখন তাঁহাদের পক্ষের অধিকাংশই ক্ষত-বিক্ষত। জওহরলালের আঘাত অবশ্য গুরুতর