এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৬৯
হয় নাই কিন্তু সর্ব্বাঙ্গে তীব্র বেদনা। পরের দিন ভোরবেলা, আসল শোভাযাত্রা বাহির হইবে, কারণ সেইদিন শহরে সাইমন কমিশন আসিবে। আগের দিনের দেহের বেদনা ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিয়া জওহরলাল শোভাযাত্রার নেতারূপে পথে বাহির হইলেন।
শোভাযাত্রা ষ্টেশনের কাছাকাছি আসিলে, পুলিস এবং অশ্বারোহী সৈন্যের দল তাঁহাদের উপর আসিয়া পড়িল। তাহার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে যাহা ঘটিয়া গেল, জওহরলাল তাঁহার আত্মচরিতে লিখিতেছেন যে, তাহাকে একটা ছোটখাট যুদ্ধ বলা যাইতে পারে। তবে যুদ্ধে দুইদলই পরস্পর পরস্পরকে আঘাত করে। কিন্তু এ যুদ্ধে একদল প্রহার করে, আর একদল নীরবে তাহা সহ্য করে। সেদিনকার সেই ঘটনা সম্পর্কে জওহরলাল লিখিতেছেন—“সেদিন দেহে যে যাতনা অনুভব করিয়াছিলাম, আজ আর তাহার চিহ্নমাত্র নাই, কিন্তু তাহার স্মৃতি মনে রহিয়া গিয়াছে—”