এই দুইটী নূতন আন্দোলনের সঙ্গে জওহরলালের অতি ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। সেই বৎসরে জওহরলাল অতীতকালের পরিব্রাজকদের মত ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত ঘুরিয়া ঘুরিয়া এই সব নূতন মতবাদ প্রচার করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। আটটী বিভিন্ন প্রদেশের বাৎসরিক কন্ফারেন্সে সভাপতিত্ব করিবার জন্য তিনি আমন্ত্রিত হন—পাঞ্জাব, দিল্লী, মালাবার এবং যুক্তপ্রদেশ। তাহা ছাড়া, বম্বে এবং বাংলা দেশে সেই বৎসরে ছাত্র বা যুবক-আন্দোলনের যতগুলি প্রধান সভা হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশতেই তিনি সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন।
বহু সভার সভাপতিত্ব করা আমাদের দেশে খুব একটা ক্বতিত্বের পরিচয় নয়, অনেক অল্পশিক্ষিত বা অর্দ্ধশিক্ষিত লোকদের ভাগ্যেও তাহা ঘটিয়া থাকে— জওহরলাল সম্বন্ধে এই কথা উল্লেখ করিবার উদ্দেশ্য হইল যে, এই সব সভা-সমিতির মধ্য দিয়া তরুণভারতে তাহার যোগ্য প্রতিনিধির মুখ হইতে এই প্রথম স্পষ্ট ভাষায় কংগ্রেসের রাজনীতি ছাড়া, জগতের বৃহত্তর রাজনীতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শুনিতে পাইল, অস্পষ্ট উচ্ছাসময় সাম্যবাদের পরিবর্ত্তে কার্যকরী বৈজ্ঞানিক সাম্যবাদের বাস্তব পরিচয় পাইল।
ভারতের রাজনৈতিক চিন্তাধারায়, এতদিন যে সব ভাবধারা টুক্রো টুক্রো রূপে এদিকে ওদিকে