লালের নাম প্রস্তাব করিলেন, এবং তাহাই গৃহীত হইল। লাহোর কংগ্রেসের সভাপতি হইলেন, পণ্ডিত জওহরলাল। পিতার শূন্য-আসনে আসিয়া বসিল পুত্র। ইহাতে সব চেয়ে বেশী আনন্দিত হইলেন পণ্ডিত মতিলাল।
মাত্র চল্লিশ বৎসর বয়সে জওহরলাল এই বিরাট সম্মান ও দায়িত্বের অধিকারী হইলেন। তাঁহার পূর্ব্বে এত কম বয়সে মাত্র আর দুইজন এই সম্মানের অধিকারী হইয়াছিলেন, গোখলে এবং আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু জওহরলালের পক্ষে চরম গৌরবের বিষয় যে, সেই বৎসরে নিখিল ভারত ট্রেড-ইউনিয়ন কংগ্রেসেরও সভাপতি তিনি নির্ব্বাচিত হন। কংগ্রেসের অধিবেশনের কয়েক সপ্তাহ আগেই নাগপুরে ট্রেডইউনিয়ন কংগ্রেসের অধিবেশন বসে। এই দুই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতিরূপে জওহরলালের মনে এক বিপুল দুরাকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠে—তাহার মধ্য দিয়া তিনি এই দুই বিচ্ছিন্ন এবং বিভিন্ন পথগামী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে যদি এক পথে টানিয়া আনিতে পারেন— যদি কংগ্রেসকে সাম্যবাদে দীক্ষিত করিতে পারেন— যদি কংগ্রেসের পরিধির মধ্যে জাতির শ্রমিক এবং কৃষকদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে লইয়া আসিতে পারেন— যদি জাতীয় আন্দোলনের পুরোভাগে সঙ্ঘবদ্ধ শ্রমিক এবং কৃষকদের দাঁড় করাইতে পারেন—