কিন্তু কিছুদিন যাইতে-না-যাইতে জওহরলাল বুঝিলেন যে তাঁহার এই আশা দুরাশা মাত্র—এবং তাঁহার সমস্ত অভিজ্ঞতা দিয়া যে সত্য তিনি উপলব্ধি করিয়াছেন, তাহা অতি সুন্দরভাবে তিনি তাঁহার আত্মচরিতে প্রকাশ করিয়াছেন—“জাতীয়তা সাম্যবাদের পথে তখনি অগ্রসর হইতে পারে, যখন সে জাতীয়তাকেই বাদ দিয়া চলিতে শিখিবে- "
কার্য্যত এই দুই আন্দোলনের ধারাকে যদিও জওহরলাল তাহার ঈপ্সিত এক পথে লইয়া আসিতে পারেন নাই, তথাপি আইডিয়ার দিক হইতে এই ব্যাপারে তাঁহার দান কম নয়। আইডিয়ার প্রসার হইতে অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই একদিন ভারতবর্ষে এই দুই রাজনৈতিক ভাবধারার সমন্বয় ঘটিবে এবং সেদিন জওহরলালের নাম কৃতজ্ঞ ভারতবাসী শ্রদ্ধায় স্মরণ করিবে।
লাহোর কংগ্রেসে জওহরলাল বহুদিন পরে কংগ্রেসের কার্য্য-ধারাকে একটা গতি দিলেন। য়ুরোপ হইতে দ্বিতীয়বার ফিরিয়া আসার পর হইতে জওহরলালের মনে কংগ্রেসের আদর্শরূপে পূর্ণ-স্বাধীনতার বাণী-ঘোষণার যে পরিকল্পনা ছিল, লাহোর কংগ্রেসে তাহাকে কার্য্যকরী করিয়া তুলিলেন। কংগ্রেস পূর্ণস্বাধীনতার আদর্শ গ্রহণ করিল এবং সেই সঙ্গে একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রস্তাব উত্থাপিত হইল, শাসন-