পরিষদের পদ ত্যাগ করিয়া কংগ্রেস সভ্যদের সম্পূর্ণভাবে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ।
প্রকাশ্য কংগ্রেসে এই প্রস্তাব গৃহীত হইয়া গেল এবং লাহোর কংগ্রেস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস সদলবলে শাসন - পরিষদ হইতে বাহির হইয়া আসিল। এই লাহোর কংগ্রেসে স্বাধীনতার প্রস্তাব ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে, জওহরলাল দেশের জনসাধারণের মনে এই স্বাধীনতা-প্রস্তাবের গুরুত্ব প্রচার করিবার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা দিবস বলিয়া একটি স্বতন্ত্র দিন নিদ্দিষ্ট করিয়া দিলেন—উক্তদিন প্রতি বৎসরে স্বাধীনতাকামী ভারতীয় নরনারী জাতীয় পতাকার সম্মুখে স্বাধীনতা প্রস্তাবের বাণীকে স্মরণ করিবে-এবং সেই ব্রত-উদ্যাপনের জন্য নিজেকে উৎসর্গীকৃত করিবে—২৬শে জানুয়ারী হইল সেইদিন-
লাহোর কংগ্রেসের পর হইতে সহসা জওহরলালের নাম সারা ভারতে ছড়াইয়া পড়িল। বিশেষ করিয়া দেশের তরুণদিগের নিকট তিনি এক নূতন ধরণের “হিরো” হইয়া উঠিলেন—মহাত্মা গান্ধী ও দেশবন্ধু ব্যতীত বোধ হয় আর কোন কংগ্রেস নেতা জনতার মন এতখানি আর অধিকার করিতে পারে নাই— মাঘ-মেলার সময় তাঁহার দর্শনের জন্য দলে দলে তীর্থযাত্রীর দল তাঁহাদের বাড়ীতে আসিয়া যতক্ষণ না তাঁহার দর্শন পাইত, অপেক্ষা করিয়া থাকিত-