বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৭৫

পরিষদের পদ ত্যাগ করিয়া কংগ্রেস সভ্যদের সম্পূর্ণভাবে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ।

 প্রকাশ্য কংগ্রেসে এই প্রস্তাব গৃহীত হইয়া গেল এবং লাহোর কংগ্রেস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস সদলবলে শাসন - পরিষদ হইতে বাহির হইয়া আসিল। এই লাহোর কংগ্রেসে স্বাধীনতার প্রস্তাব ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে, জওহরলাল দেশের জনসাধারণের মনে এই স্বাধীনতা-প্রস্তাবের গুরুত্ব প্রচার করিবার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা দিবস বলিয়া একটি স্বতন্ত্র দিন নিদ্দিষ্ট করিয়া দিলেন—উক্তদিন প্রতি বৎসরে স্বাধীনতাকামী ভারতীয় নরনারী জাতীয় পতাকার সম্মুখে স্বাধীনতা প্রস্তাবের বাণীকে স্মরণ করিবে-এবং সেই ব্রত-উদ্‌যাপনের জন্য নিজেকে উৎসর্গীকৃত করিবে—২৬শে জানুয়ারী হইল সেইদিন-

 লাহোর কংগ্রেসের পর হইতে সহসা জওহরলালের নাম সারা ভারতে ছড়াইয়া পড়িল। বিশেষ করিয়া দেশের তরুণদিগের নিকট তিনি এক নূতন ধরণের “হিরো” হইয়া উঠিলেন—মহাত্মা গান্ধী ও দেশবন্ধু ব্যতীত বোধ হয় আর কোন কংগ্রেস নেতা জনতার মন এতখানি আর অধিকার করিতে পারে নাই— মাঘ-মেলার সময় তাঁহার দর্শনের জন্য দলে দলে তীর্থযাত্রীর দল তাঁহাদের বাড়ীতে আসিয়া যতক্ষণ না তাঁহার দর্শন পাইত, অপেক্ষা করিয়া থাকিত-