বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
জওহরলাল

প্রত্যেক দশ মিনিট অন্তর তাঁহাকে আসিয়া দর্শন দিতে হইত—

 এই সময় তাহার খ্যাতি জনসাধারণের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে, লোকের মুখে মুখে তাঁহার সম্বন্ধে নানা রোমাঞ্চকর কাহিনীর সৃষ্টি হইল। এখনও পর্যন্ত সেই সব কাহিনী লোকের মনে বদ্ধমূল হইয়া আছে, যদিও তিনি নির্ম্মমভাবে তাঁহার আত্মচরিতে তাঁহার সম্বন্ধে সেই সব কাহিনীর মূলোচ্ছেদ করিয়া দিয়াছেন। কিন্তু নিজের চারিদিকে “হিরোর” আলোকচ্ছটা নিজের হাতে মুছিয়া ফেলিয়া দিবার যতই চেষ্টা জওহরলাল করুন না কেন, আজ তিনি জনসাধারণের মনে যে স্থান অধিকার করিয়া আছেন, সেখানে “হিরোর” সেই রামধনু-রঙা বর্ণচ্ছটা ঘিরিয়া থাকিবেই।


চৌদ্দ

 লাহোর কংগ্রেসের পরের বৎসর গান্ধীজি সিফিল ডিসোবিডিয়েন্‌স আন্দোলন শুরু করিবেন বলিয়া কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিকে জানাইলেন। এই আইন-অমান্য-আন্দোলনের সূত্রপাত হইবে, লবণআইন ভঙ্গ করিয়া!