যখন গান্ধীজি এই প্রস্তাব উত্থাপন করিলেন, তখন অনেকের ন্যায় জওহরলালও আইন-অমান্য-আন্দোলনের এই বিচিত্র উপায় সম্বন্ধে সন্দিহান হইয়াছিলেন; এবং গান্ধীজির সহিত তাহা লইয়া তাহার বাদপ্রতিবাদও হয়। তবে অন্যান্য বহু ব্যাপারের ন্যায়, এ ব্যাপারে গান্ধীজি ওয়ার্কিং কমিটীর সকলের মত পরিবর্ত্তন করাইলেন। জওহরলাল গান্ধীজির সহিত বাদানুবাদ করিলেও, একটী বিষয় তিনি নিঃসন্দেহভাবে জানিতেন, তাহা হইল অর্দ্ধ-তপস্বী রাজনৈতিকের জনতার এবং ঘটনা-প্রবাহের মনস্তত্ত্ব বুঝিবার স্বভাবত প্রতিভা—
সেইজন্য বারবার গান্ধীজির সহিত মতের অনৈক্য হইলেও, তিনি অনুগত শিষ্য এবং সহচরের মত তাঁহার অনুসরণ করিয়াছেন। বিশেষ করিয়া লবণআন্দোলনে গান্ধীজি জগতের সামনে প্রমাণ করিয়া দিলেন যে, ঘটনার গতি-প্রবাহ-জ্ঞান সম্বন্ধে যদি কোন বিজ্ঞান থাকে, তাহা হইলে সে বিষয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক।
যে আন্দোলনের সূচনায় সকলেই, এমন কি বৃটীশ গভর্ণমেণ্ট, একটা হাস্যকর কিছু আশঙ্কা করিয়া সেই অর্দ্ধউন্মাদ লোকটীকে তাঁহার নিজের খেয়াল-মাফিক অগ্রসর হইতে দিয়াছিলেন, কয়েকদিন যাইতে না যাইতে সকলের সঙ্গে বৃটীশ গভর্ণমেণ্টও বুঝিলেন,