বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
জওহরলাল

লোকটীর বিচারে তাঁহারা কি ভুলই না করিয়াছেন। এই লবণ-আন্দোলনকে ভিত্তি করিয়া ভারতের জাতীয়-আন্দোলনের স্তিমিত শিখা যেন দাবানলের মত জ্বলিয়া উঠিল—এতদিন যে আন্দোলন শহরের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল, গান্ধীজি বৃটীশ-শাসন যন্ত্রের রক্ষীদের দ্বারাই তাহা ভারতের সুদূরতম গ্রামে তাহাকে লইয়া আসিলেন—ভদ্রবেশী আমলাতন্ত্রের আড়ালে যে পীড়নকারী অত্যাচারী মূর্ত্তি ছিল, যাহা বক্তৃতায় বা মুখের কথায় লোককে দেখানো বা বোঝানো সম্ভব ছিল না-

 লবণ-সত্যাগ্রহীর অসীম তিতিক্ষা এবং সেই সঙ্গে পুলিশের ততোধিক কঠিন প্রহার- তাহা সুদূরতম গ্রামবাসীর চোখের সামনে তুলিয়া ধরিল—চোখেদেখা জিনিসকে আর ভুল বুঝিবার অবকাশ রহিল না। গান্ধীজির নেতৃেত্ব সম্বন্ধে জওহরলালের মনে যেটুকু দ্বিধা ছিল, তাহা সম্পূর্ণভাবে তিরোহিত হইয়া গেল। যাহাতে এই আন্দোলন সঙ্ঘবদ্ধভাবে পরিচালিত হয়, তাহার জন্য জওহরলাল শহর হইতে শহরে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। আন্দোলনের বেগ তীব্রতর হইয়া উঠিল ।

 একদল সত্যাগ্রহী কারারুদ্ধ হয়, তাহার স্থলে পূর্ব্ব-নির্দিষ্ট আর একদল বাহির হয়। কংগ্রেস প্রত্যেক দলকে সতন্ত্রভাবে কাজ করিবার স্বাধীনতা