দিয়াছিল এবং গান্ধিজীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক দলের একজন করিয়া নেতা বা পরিচালক থাকিতেন। তিনি কারারুদ্ধ হইলে, তিনিই স্থির করিয়া যাইতেন, তাঁহার স্থলে কে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করিবে। এইভাবে একটা আন্দোলন মাথা তুলিয়া উঠিল। আবার চারিদিকে ধর-পাকড়, বেয়নেটচার্জ্জ—নিষ্পেষণের নানা মূর্ত্তি জাগিয়া উঠিল—
জওহরলাল রাইপুরে এক সভায় যোগদান করিবার জন্য যাইতেছিলেন, সেই সময় পথে তাঁহাকে গ্রেফতার করা হইল। গান্ধীজির ব্যবস্থা অনুযায়ী জওহরলাল, তাঁহার অনুপস্থিতিতে গান্ধীজিকে কংগ্রেসের প্রেসিডেণ্ট মনোনীত করিয়া গেলেন, যদি গান্ধিজী সম্মত না হন, তাহা হইলে প্রেসিডেণ্ট হইবেন পণ্ডিত মতিলাল। কিন্তু গান্ধীজি যে সম্মত হইবেন না, তাহা জওহরলাল জানিতেন। তাই তাঁহার অনুপস্থিতিতে পণ্ডিত মতিলাল পুত্রের দায়িত্ব স্কন্ধে তুলিয়া লইলেন । তখন তাঁহার শরীর ভাঙ্গিয়া পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে, রীতিমত তাঁহার চিকিৎসা চলিতেছে কিন্তু কারাপ্রবাসী পুত্রের অসমাপ্ত দায়িত্ব পিতা হইয়া তিনি কি করিয়া প্রত্যাখ্যান করেন? সেই অসুস্থ অবস্থাতেই পণ্ডিত মতিলাল সেই বিরাট দায়িত্ব তুলিয়া লইলেন। বিচারে জওহরলালের ছয়মাস কারাদণ্ড হইল।