তাহার পরের মাসেই গান্ধীজি কারারুদ্ধ হইলেন। তখন কংগ্রেসের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পণ্ডিত মতিলালের উপর আসিয়া পড়িল। সেই অসুস্থ শরীর লইয়া তিনি বম্বে আসিলেন। সেই সময় বম্বে প্রদেশ এই আন্দোলনে ডগমগ করিতেছিল। মতিলালের আগমনে তাহা যেন আরও তীব্র হইয়া উঠিল। বম্বের কাজ শেষ করিয়া পণ্ডিত মতিলাল যখন এলাহাবাদে ফিরিয়া আসিলেন, তখন তাঁহার অসুস্থ শরীর আর ভার বহন করিতে অক্ষম। ডাক্তারদের সনির্ব্বন্ধ অনুরোধে কিছুকাল বিশ্রামের জন্য মুসৌরী যাইবার প্রস্তাব স্থির হইল। মুসৌরী যাইবার দিন যাত্রার আয়োজন করিতেছেন, এমন সময় পুলিশ আসিয়া জানাইল, তাহার বিশ্রামের জায়গা গভর্ণমেণ্টই ঠিক করিয়া রাখিয়াছেন, মুসৌরী নয়, নয়নী জেল।
পনেরো
পিতা আর পুত্রে আবার দেখা হইল—কারাগারে। পণ্ডিত মতিলালের স্বাস্থ্যের দরুণ, জেলকর্তৃপক্ষ তাঁহাকে জওহরলালের কাছে কাছেই রাখিলেন। সৈয়দ মাহমুদ এবং জওহরলাল দুইজনে মিলিয়া পণ্ডিত মতিলালের সেবা করিতে পাইয়া, সেই কারাজীবনের একঘেয়েমীর হাত হইতে বাঁচিলেন।